News update
  • Salahuddin accuses Jamaat of backing vested quarter to disrupt polls     |     
  • Last boat in Gaza humanitarian flotilla intercepted by Israel     |     
  • UN Marks World Space Week With Theme 'Living in Space'     |     
  • Dhaka's air quality recorded 'moderate' on Saturday morning     |     
  • UN Warns of Worsening Humanitarian Crisis in Darfur     |     

প্রথমবারের মতো নারী প্রধানমন্ত্রী পেতে যাচ্ছে জাপান 

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক গনতন্ত্র 2025-10-04, 4:06pm

ertertretey56546-b205039166b94c333ffbe77f213b68d61759572387.jpg




জাপানের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথ সুগম করলেন সানায়ে তাকাইচি। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার (৪ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটে সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুনিচিরো কোইজুমির ছেলে শিনজিরো কোইজুমিকে পরাজিত করে ৬৪ বছর বয়সি সানায়ে তাকাইচি নির্বাচিত হন। ফলে তাকাইচির প্রধানমন্ত্রী হওয়া এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা। এর আগে প্রথম দফা ভোটে পাঁচ প্রার্থীর কেউই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেননি। 

এলডিপির দলীয় সদস্য এবং পার্লামেন্ট সদস্যদের ভোটে তাকাইচি নির্বাচিত হওয়ায়, আগামী ১৫ অক্টোবর পার্লামেন্টে ভোটাভুটির মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার কথা রয়েছে। তিনি বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শিগিরু ইশিবার স্থলাভিষিক্ত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

তবে তাকাইচি এক কঠিন সময়ে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে চলেছেন। তাকে বয়স্ক জনসংখ্যা, ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা, হুমকির মুখে থাকা অর্থনীতি এবং অভিবাসন নিয়ে বাড়তে থাকা উদ্বেগসহ জটিল সব অভ্যন্তরীণ সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে।

রাজনৈতিক দিক থেকে তার প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে কার্যকরভাবে দেশ পরিচালনা করা, কারণ সাম্প্রতিক নির্বাচনের পর এলডিপি নেতৃত্বাধীন জোট পার্লামেন্টের কোনো কক্ষেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে পারেনি। ফলে সরকারকে কার্যকরভাবে চালাতে এখন তাদের মধ্যপন্থী কৌমেইতো জোটের পাশাপাশি অন্তত একটি মূল বিরোধী দলের সহযোগিতা চাইতে হবে।

এদিকে প্রচারণার সময় তাকাইচি এবং কোইজুমি উভয়ই বিরোধী দল সানসেইতো-এর মতো জনতুষ্টিবাদী দলগুলোর প্রতি আকৃষ্ট হওয়া ভোটারদের মন জিততে চেয়েছিলেন। সানসেইতো অভিবাসনকে একটি ‘নীরব আক্রমণ’ হিসেবে আখ্যায়িত করে এবং বিদেশিদের দেশের বিভিন্ন সমস্যার জন্য দায়ী করেন।

তাকাইচি প্রকাশ্যে বলেন, জাপানের উচিত সম্পূর্ণ ভিন্ন সংস্কৃতি ও পটভূমির মানুষকে প্রবেশাধিকার দেওয়ার নীতিগুলো পুনর্বিবেচনা করা। অন্যদিকে, কোইজুমি সতর্ক করে বলেন, বিদেশিদের অবৈধ কর্মসংস্থান এবং জননিরাপত্তার অবনতি স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগের জন্ম দিচ্ছে।" এই ধরনের উদ্বেগ সৃষ্টিকারী মন্তব্য জাপানে বিরল, যেখানে বিদেশিদের জন্মহার জনসংখ্যার মাত্র ৩ শতাংশ।

এলডিপির রক্ষণশীল শাখা থেকে উঠে আসলেও, তাকাইচি সম্প্রতি চীন সম্পর্কে আরও সংযত সুর বজায় রেখেছেন। অর্থনীতিতে তিনি অতীতে তার পরামর্শদাতা শিনজো আবের পদাঙ্ক অনুসরণ করে কঠোর আর্থিক শিথিলতা এবং বড় আকারের আর্থিক ব্যয় নীতির পক্ষে ছিলেন।

অন্যদিকে, নারীবাদীরা সতর্ক করে বলছেন প্রথম নারী নেতা হওয়ার এই উদ্‌যাপন দ্রুত হতাশায় রূপ নিতে পারে। টোকাই বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি ও লিঙ্গ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ইয়ুকি সুজি এএফপিকে জানান, তাকাইচির নারী অধিকার বা লিঙ্গ সমতা নীতিগুলিতে কোনো আগ্রহ নেই।

তাকাইচির প্রথম আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক পরীক্ষা হতে পারে অক্টোবরের শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে একটি সম্ভাব্য শীর্ষ সম্মেলন। ট্রাম্প ৩১ অক্টোবর থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) সম্মেলনে যোগ দিতে যাবেন। সেখানে ট্রাম্প জাপানের প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানোর দাবি জানাতে পারেন।

আরটিভি